প্রথমবারের মতো করাচি–চট্টগ্রাম সমুদ্রপথে সরাসরি শিপিং চালু: বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত

প্রথমবারের মতো করাচি–চট্টগ্রাম সমুদ্রপথে সরাসরি শিপিং চালু: বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত | Daily News and Views

প্রথমবারের মতো করাচি–চট্টগ্রাম সমুদ্রপথে সরাসরি শিপিং চালু: বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত

By Daily News and Views Business Desk | প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪:০০ PM | আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২৫, ৬:০০ PM

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি সমুদ্রপথে শিপিং রুটের মানচিত্র

ঢাকা/চট্টগ্রাম: দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথমবারের মতো করাচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি সমুদ্রপথে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় দুই দেশের বাণিজ্য এখন আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী হয়েছে।

মূল তথ্য:

  • পরিবহন সময়: পূর্বে ২৩ দিন, এখন ১০ দিন
  • উদ্যোগকারী: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পর থেকে যৌথ উদ্যোগ
  • প্রধান লাভ: খরচ হ্রাস, পণ্য খালাসের গতি বৃদ্ধি

🔹 পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিবেদন

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জাতীয় পরিষদে জমা দেওয়া এক লিখিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে

প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্বে করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পৌঁছাতে যেখানে প্রায় ২৩ দিন সময় লাগত, এখন মাত্র ১০ দিনেই তা সম্পন্ন হচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় কমেছে এবং পণ্য পরিবহনের কার্যকারিতা বেড়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তানি পণ্যের বাধ্যতামূলক শতভাগ পরিদর্শন প্রক্রিয়া বাতিল করেছে

“এটি দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার এক বড় পদক্ষেপ। এ উদ্যোগের ফলে পণ্য খালাসের গতি বাড়বে, আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া হবে আরও সহজ, এবং পাকিস্তানি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করবে।”
— ইসহাক দার, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

🔹 যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের ভূমিকা

গত ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সম্পাদিত এক চুক্তির আওতায় পাকিস্তান ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন চাল সরবরাহ করেছে এবং মোট ২ লাখ টন চাল রপ্তানির অঙ্গীকার করেছে।

🔹 বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও ডেনিম এক্সপোতে পাকিস্তানের প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এটি বাংলাদেশের পোশাক ও উৎপাদন খাতে পাকিস্তানের আগ্রহের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য প্রভাব:

  • বাণিজ্যিক পরিমাণ বৃদ্ধি: বর্তমান ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০% বৃদ্ধি
  • পণ্যের ধরন: টেক্সটাইল, চাল, ফার্মাসিউটিক্যালস
  • অর্থনৈতিক লাভ: বাংলাদেশের রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধি

🔹 উপসংহার

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক মানচিত্রে নতুন আলোকপাত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দুই দেশের সম্পর্ককে গভীরতর করবে।

সোর্স: Entrepreneur News, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ প্রতিবেদন, Daily News and Views সংবাদদাতা

Post a Comment

0 Comments